আগৈলঝাড়ায় প্রতিনিধিঃ আগৈলঝাড়া থানার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে আগত হারুন-অর-রশিদ পরিবার। মোবাইলের রং নাম্বার সূত্র ধরে চাখার নিবাসী মৃত আলী হোসেন সরদার এর পুত্র মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সাথে হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী নাসিমা বেগম এর পরিচয় হয়।
নাসিমা বেগম ও কামাল হোসেন মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকে।একপর্যায়ে দুজনার মধ্যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়।পরিচয় সূত্রে উক্ত কামাল হোসেন হারুনুর রশিদের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তখন হারুন শেখ এর স্ত্রী নাসিমা বেগম তাহার কলেজ পড়ুয়া কন্যা রাবেয়ার সাথে বিবাহ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কামাল হোসেন না জেনে বুঝে তাদের কথায় সম্মত হয়। সূত্রমতে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ রাবেয়া ও কামাল হোসেনের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
তখন কামাল হোসেন তার শ্বশুরের ভাড়া বাড়িতে থাকতো। ইতিমধ্যে হারুন-অর-রশিদ ০৮ শতাংশ জমি ক্রয় করিলে উক্ত জমির উপরেটিনসেট বিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলে হারুন-অর-রশিদ কামাল হোসেনের কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং উক্ত টাকা দিয়ে ঘর খানা তৈরি করা হয়। এবং ঘরের অর্ধেক কামালকে দিবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। ঘটনা সুত্রে জানা যায় ঘর তৈরীর পরে কামাল হোসেন ও রাবেয়া আক্তার সুখে শান্তিতে সংসার করতে ছিল।
সংসারের যাবতীয় খরচা বহন করত কামাল হোসেন। ইতিমধ্যে কামাল হোসেনের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। টাকা দিতে না পারলে নাসিমা বেগম সহ তার ভাই কিবরিয়া, কামরুল, রাকিব কামালকে শারীরিক নির্যাতন করে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কামাল হোসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয় কিন্তু উক্ত নাসিমা বেগম হারুন-অর-রশিদ তারা কারো কথার ধার ধারে না। কামাল হোসেনের ধারকৃত দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাইলে তার নামে উল্টো যৌতুক বিরোধী ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত যৌতুকবিরোধী মামলাটি ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় আবার আরেকটি মামলা করা হয়। পক্ষান্তরে রাবেয়ার জন্য অন্য পাত্র খুঁজতে থাকে তা কামাল হোসেন জানতে পারলে বাড়িতে এসে আপত্তি জানায়। কামাল হোসেনের ভাষ্য যেহেতু সে এখনো রাবেয়া বেগমের বৈধ স্বামী সেহেতু অন্য ছেলের সাথে ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেওয়া অবৈধ। এ মত অবস্থায় নাসিমা বেগম ও তার পরিবার কামালকে অনেক মারধোর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। তখন প্রশাসনের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন কিন্তু এলাকার নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপে মিটমাট হয়ে যায়। তখন বলেছিল উক্ত দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কিছুদিনের মধ্যে দিয়ে দিবে।
কিন্তু অদ্য পর্যন্ত সে টাকা দেয়নি এমনকি কামালের স্ত্রীর সাথে কথা বলতে নাছিমা বেগম পরিবার আপত্তি করে। নাসিমা বেগম তাহার মেয়ের সাথে কামাল হোসেনকে কথা বলতে দেয় না। অথচ প্রতিমাসে বিভিন্ন লোভ ও প্রলোভন দেখিয়ে কামালের নিকট হতে হাতিয়ে নেয় লক্ষাধিক টাকা। টাকা না দিলে আবারো মামলা করবে বলে কামালকে হুমকি দেয়। কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক প্রতিমাসে অনেক টাকা দিতে হয় রাবেয়ার পরিবারকে। তাহারা রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করতেছে।
কামাল হোসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তার স্ত্রীকে ফেরত পাওয়ার জন্য সেই সাথে তার পাওনা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ফেরত চাইছে।
Discussion about this post